“উন্নয়নের এ ধারাকে এগিয়ে নিতে সকলের সহযোগিতা যেমন প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন দৃষ্টিভঙ্গির ইতিবাচক পরিবর্তন। তাহলেই দেশ পরিণত হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায়।” রাষ্ট্রপতি দেশে-বিদেশে বসবাসরত সব বাংলাদেশিকে বিজয়ের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। পাশাপাশি করোনাভাইরাস মহামারীর এই সময়ে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান আবদুল হামিদ।
“করোনা মহামারী মানবসভ্যতাকে ইতিহাসের এক চরম বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড় করিয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ করোনা পরিস্থিতি সাফল্যের সাথে মোকাবেলা করে যাচ্ছে। করোনাযুদ্ধে জয়ী হতে আমি দেশবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি।”
রাষ্ট্রপতি বলেন, “স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে, গড়ে তুলতে হবে পরমত সহিষ্ণুতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের সংস্কৃতি।”
নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে নতুন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের পথচলা শুরু হয়। বুধবার বিজয়ের ৪৯তম বার্ষিকী উদযাপন করতে যাচ্ছে দেশ; সেই সঙ্গে এবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনও চলছে।
তবে করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে অন্য অনেক রাষ্ট্রীয় কর্মসূচির মতো এবারের বিজয় দিবসের কর্মসূচিও সীমিত করে আনতে হয়েছে। বিজয় দিবসের দিন জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে সশস্ত্র বাহিনীর সম্মিলিত সামরিক কুচকাওয়াজ (প্যারেড) এবার হবে না।
প্রতিবারের মত এবার স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে না গেলেও রাষ্ট্রপতির পক্ষে তার সামরিক সচিব যাবেন বলে বঙ্গভবনের প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে।