থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে উন্মত্ত সৈন্যের গুলিতে নিহত ২০
ব্যাংককে সৈন্যের গুলিতে নিহত ২০
নিউজ ডেস্ক, এএনবি নিউজএজেন্সি ডটকম : দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বিবিসি থাইকে জানান, জাক্রাফ্যান থম্মা নামের একজন জুনিয়র কর্মকর্তা একটি সামরিক শিবির থেকে বন্দুক ও গুলি চুরি করার আগে তার কমান্ডিং অফিসারের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করেন।
সন্দেহভাজন এরপর গাড়ি চালিয়ে নাখন রাচসিমা শহরের কেন্দ্রস্থলে গিয়ে একটি বিপণীবিতানে প্রবেশ করেন। এখানেই তিনি আটকা পড়ে আছেন বলে বিশ্বাস করা হচ্ছে।
থাইল্যান্ডের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল কংচিপ তন্ত্রভানিচ ২০ জন নিহত হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন।
সন্দেহভাজন একটি মেশিনগান ব্যবহার করে নিরীহ লোকদের গুলি করে হত্যা ও আহত করেছে বলে দেশটির আরেক সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন।
কী কারণে সে এমন সহিংস তাণ্ডব চালিয়েছে তা পরিষ্কার হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের হামলার বেশ কিছু ছবি পোস্ট করেছে সে।
বিকালে নাখন রাচসিমার সুয়েথাম ফিথাক সামরিক শিবিরে কমান্ডিং অফিসারকে হত্যার মধ্য দিয়ে হামলা শুরু হয়। নিহত ওই কমান্ডিং অফিসারের নাম কর্নেল অনন্তরথ ক্রাসায়ে বলে জানিয়েছে ব্যাংকক পোস্ট।
এখানে ৬৩ বছর বয়সী এক নারী ও অন্য একজন সৈন্যকেও হত্যা করেন থম্মা।
শিবির থেকে অস্ত্র ও গুলি লুট করে একটি হামভি ধরনের গাড়ি নিয়ে সেখান থেকে শহরের কেন্দ্রস্থলের দিকে রওনা দেয় সে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের ফুটেজে দেখা গেছে, সন্দেহভাজন শহরের মুয়াং এলাকায় টার্মিনাল ২১ বিপণীবিতানের সমানে হামভি ধরনের একটি গাড়ি থেকে নেমে গুলি করছেন আর লোকজন পালানোর চেষ্টা করছে।
অন্যান্য ফুটেজে ভবনটির বাইরে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। গুলির আঘাতে বিস্ফোরিত একটি গ্যাস ক্যানিস্টার থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয় বলে কয়েকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সন্দেহভাজনের পোস্ট করা কয়েকটি ছবির একটিতে তার তোলা সেলফিতে তার পেছনে এই আগুনের কুণ্ডলি দেখা গেছে।
ওই সন্দেহভাজন বিপণীবিতানের ভিতরে আছেন, এমন তথ্যের ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষ বিপণীবিতান থেকে বের হওয়ার সবগুলো পথ বন্ধ করে দিয়ে তাকে ধরার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে।সিসিটিভি ফুটেজে সন্দেহভাজনকে উঁচু করে ধরা একটি রাইফেল হাতে বিপণীবিতানের ভিতরে দেখা গেছে।
পুলিশ স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক করে বাড়িতে অবস্থান করতে বলেছে।
ব্যাংকক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩২ বছর বয়সী ওই সন্দেহভাজন বিপণীবিতানের ভিতরে কয়েকজনকে জিম্মি করেছেন। কিন্তু সরকারিভাবে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়নি বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ভবনের ভিতর থেকে আরও গুলির শব্দ শোনা গেছে, এমন তথ্য পাওয়া গেলেও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আসা কয়েকটি পোস্টে বিপণীবিতানের কাছে গুলিবর্ষণের দৃশ্য প্রদর্শিত হয়েছে।
হামলা চলার সময় সন্দেহভাজন নিজের সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টে কয়েকটি পোস্ট দেয়, ফেইসবুকে দেওয়া একটি পোস্টে সে জিজ্ঞেস করেছে তার আত্মসমর্পণ করা উচিত কিনা।
এর আগে একটি পিস্তলের সঙ্গে তিন সেট বুলেটের ছবি পোস্ট করে সে লিখেছিলো, “উত্তেজিত হওয়ার সময় এসেছে।”