এবার টিক দেওয়ার পাশাপাশি লিখতেও হবে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায়
টিক ও লিখিত পদ্ধতিতে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা
নিজস্ব প্রতিবেদক, এএনবি নিউজএজেন্সি ডটকম: প্রায় তিন দশক পর ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ধরন বদলাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, ফলে এখন টিক চিহ্ন দেওয়ার পাশাপাশি লিখতেও হবে পরীক্ষার্থীদের।
এবার ভর্তি পরীক্ষায় ১২০ নম্বরের পরীক্ষায় নৈর্ব্যক্তিক (এমসিকিউ) প্রশ্নের জন্য থাকছে ৭৫ নম্বর, লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪৫ নম্বর। এমসিকিউ পরীক্ষার জন্য ৫০ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪০ মিনিট সময় পাবেন পরীক্ষার্থীরা।
এই ধরনের ভর্তিপরীক্ষায় গুণগত মানের ‘বিরাট’ পরিবর্তন হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
তিনি বলেন, “ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীদের এবার এমসিকিউ অংশের উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি লিখতে হবে।
“এই লিখতে হলে বানান জানতে হয়, লেখার ফলে স্কিল বাড়বে, এনালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি বাড়বে। আবার লেখার ক্ষেত্রে সৃজনশীল দক্ষতাও বাড়বে।”
বুধবার উপাচার্যের সভাপতিত্বে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তিবিষয়ক কমিটির সভায় প্রশ্নপত্রের ধরন বদলানোসহ সার্বিক সিদ্ধান্ত হয়।
ভর্তিচ্ছুরা ৫ অগাস্ট বিকাল ৪টা থেকে ২৯ অগাস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। ভর্তি পরীক্ষা ১৩ সেপ্টেম্বর ‘গ’ ইউনিট দিয়ে শুরু হয়ে ২৮ সেপ্টেম্বর ‘চ’ ইউনিট দিয়ে শেষ হবে।
ভর্তি কমিটির একজন সদস্য বলেন, পরীক্ষায় আবেদনের যোগ্যতা আগের মতোই থাকবে। পরীক্ষার্থীদের এসএসসি ও এইচএসসি ফলাফলের উপর ৮০ নম্বরও আগের মতোই বরাদ্দ থাকছে।
তিনি বলেন, এমসিকিউ অংশে পাস করলেই কেবল ওই পরীক্ষার্থীর লিখিত অংশ দেখা হবে। এক্ষেত্রে এমসিকিউ অংশে ৭৫ এর মধ্যে কমপক্ষে ৩০ নম্বর পেতে হবে এবং সামগ্রিকভাবে পাস করার জন্য ১২০ এর মধ্যে ৪৮ নম্বর পেতে হবে।
তিনি জানান, লিখিত অংশের উত্তর পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের মধ্যেই দিতে হবে এবং এই লিখিত অংশের উত্তর একাধিক পরীক্ষক দেখবেন।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, “লিখিত অংশে আমরা মূলত দেখব, বাংলা থেকে ইংরেজি করতে পারে কি না, ইংরেজি থেকে বাংলা করতে পারে কি না?
“আর সাধারণ জ্ঞানের ক্ষেত্রে আমরা হয়ত একটা বিষয়ে লিখতে দেব, সেখানে পরীক্ষার্থীর আরগুমেন্ট, লজিক্যাল ভিত্তি আছে কি না, এই বিষয়গুলো বিশেষভাবে দেখা হবে।”
‘ঘ’ ইউনিটের লিখিত অংশে এই ধরনের প্রশ্নে সাজানো হতে পারে বলে তিনি জানান।
নতুন নিয়মে ‘অনেক কিছু’ পরিবর্তন হবে জানিয়ে উপাচার্য আখতারুজ্জামান বলেন, “এই পরিবর্তনের প্রভাব নিচের ক্লাসেও পড়বে। পরবর্তী সময় থেকে নিচের ক্লাসের শিক্ষার্থীরাও এটির প্র্যাকটিস শুরু করবে। ক্রমান্বয়ে গুণগত মানের বিরাট পরিবর্তন হবে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্রের এই প্রভাব শিক্ষাক্ষেত্র ছাড়াও সব ক্ষেত্রে পড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন অধ্যাপক আখতারুজ্জামান।