উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রাখা জরুরি: শেখ হাসিনা
আওয়ামী লীগের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখা
নিজস্ব প্রতিবেদক,এএনবি নিউজএজেন্সি ডটকম: সোমবার ঢাকার কামরাঙ্গীরচর হাসপাতাল মাঠে এক জনসভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা সার্বিকভাবে উন্নয়নের মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। বাংলাদেশ আজকে উন্নয়নের মহাসড়কে। এর ধারাবাহিকতা রাখা একান্তভাবে প্রয়োজন।
“তাই আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ করব, আগামী নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অতীতে যারা ক্ষমতায় ছিল, বিএনপি-জামায়াত জোট, তারা জনগণের কল্যাণে কিছু দিতে পারে নাই। কিন্তু নিজেরা অর্থসম্পদের মালিক হয়েছে, বিদেশে অর্থ পাচার করেছে।”
শেখ হাসিনা বলেন, “তারা এদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে, অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলা করে মানুষ হত্যা করেছে।”
১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর ঢাকার লালবাগে গুলি করে ছয়জনকে হত্যার ঘটনা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “এইভাবে তারা সন্ত্রাস, দুর্নীতি, লুটপাট… এছাড়া আর কিছুই করতে পারে না। মানুষকে কিছু দিতে পারে না, শুধু নিতে পারে। আর আওয়ামী লীগ আসে মানুষকে দিতে।
“কারণ আওয়ামী লীগ জাতির পিতার হাতের সংগঠন। আওয়ামী লীগ মানুষের জন্য কাজ করে। এই দশ বছরে যে উন্নয়ন হয়েছে আর ভবিষ্যতে যে পরিকল্পনা রয়েছে সেগুলো বাস্তবায়ন করতে হলে সরকারের ধারাবাহিকতা একান্তভাবে প্রয়োজন।”
কামরাঙ্গীরচরের জনসভায় শেখ হাসিনা তার নেতৃত্বাধীন সরকারের ১০ বছরে দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেলের কাজ শুরু হয়েছে। যানজট দূর করার জন্য ফ্লাইওভার নির্মাণ হয়েছে। ভবিষ্যত পরিকল্পনা হল ঢাকায় পাতাল রেল করা। তার সমীক্ষার কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। নদীগুলি খনন করে নৌ পথও সচল করা হবে।
“ঢাকার সৌন্দর্য্য যেমন বৃদ্ধি হবে, নৌপথ চালু হবে, যানজটমুক্ত হবে সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। গোটা বাংলাদেশব্যাপী আমাদের পরিকল্পনাতো আছেই।”
গত দশ বছরে বিভিন্ন হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের চিত্রও নির্বাচনী সভায় তুলে ধরেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। কামরাঙ্গীরচরে বস্তিবাসীর জন্য ১০ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণ এবং ঢাকা ঘিরে রিং রোড করে দেওয়ার উদ্যোগের কথাও তিনি বলেন।
কওমী মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি দেওয়ার কথা তুলে ধরে কামরাঙ্গীরচরে আরবি বিশ্ববিদ্যালয় করার উদ্যোগ নেওয়ার কথাও বলেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, “যদি আমরা জয়ী হয়ে আসতে পারি, এদেশে দারিদ্র্য থাকবে না।”
সুপেয় পানি ও বিদ্যুতের অভাব দূর করার চেষ্টার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “এই পানির অভাবের কারণে বিএনপির এমপিরা রুদ্ররোষে পড়েছিল। জনগণের ধাওয়া খেয়েছিল।”
প্রতিটি এলাকায় জলাধার থাকার ওপর গুরুত্ব দিয়ে শেখ হাসিনা কামরাঙ্গীরচরের খাল উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেন।